DESIGNING AND APPLYING ACTIVITIES TO DEVELOP SELF-ESTEEM (EPC4) BENGALI VERSION
ভূমিকা
Self-Esteem
বা
আত্মমর্যাদা হল সামগ্রিকভাবে ব্যক্তির নিজ যোগ্যতা সম্পর্কে ব্যক্তিগত প্রাক্ষোভিক
মূল্যায়ন। এটি হল নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে বিচার এবং একই সঙ্গে নিজের প্রতি মনোভাব (যেমন—আমি নির্দিষ্ট বিষয়ে উপযুক্ত বা দক্ষ) ।
আত্মমর্যাদা (Self-Esteem) এক ধরনের
সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক সংগঠক (Socio-
Psychological Construct)। এই জন্যই গবেষকগণ Self-Esteem-কে ব্যক্তির বিশেষ
বিশেষ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের অন্যতম নির্ধারক হিসেবে বিবেচনা করেছেন, যেমন—
তার
শিক্ষাগত পারদর্শিতা, সুখী মানসিকতা, সুখী দাম্পত্য জীবন ইত্যাদি। Self-Esteem বা আত্মমর্যাদাকে
নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় (যেমন—'আমি সুলেখক বা
কর্মক্ষেত্রে সুখী')। আবার সামগ্রিক
ভিত্তিতে বিচার করা যায় (যেমন –
আমি
নিজেকে একজন সুখী ব্যক্তি বলে মনে করি)। ব্যক্তি নিজের প্রতি যে মূল্য আরোপ করে
তাকেই বলা হয় আত্মমর্যাদা। এককথায় বলা যায় যে, নিজের ক্ষমতাবলি এবং গুণাবলি সম্পর্কে ব্যক্তির ধারণাকে
আত্মমর্যাদা বলে। তবে ব্যক্তির নিজ সম্পর্কে ধারণা কেবলমাত্র তার অভিজ্ঞতার
ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে না অন্যেরা তার (অর্থাৎ ব্যক্তির) প্রতি কী মনোভাব পোষণ করেন
তাও ব্যক্তি বিবেচনা করে। এই কারণে আত্মমর্যাদা (Self-Esteem)-কে আত্মবোধ (Self-Concept)-এর পরিমাপের অংশ বলা
যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে মনোবিদগণ আত্মমর্যাদাকে ব্যক্তিত্বের একটি
সংলক্ষণ (Trait) হিসেবে বিবেচনা
করেন। আত্মমর্যাদার ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে নীচে একটি উদাহরণ দেওয়া হল।
মানব একজন
উচ্চশ্রেণির ক্রিকেটার বলে পরিচিত কিন্তু শিক্ষাগত পারদর্শিতার ক্ষেত্রে সে
দুর্বল। শিক্ষাক্ষেত্রে নিজের দুর্বলতা সে মেনে নিয়েছে এবং বিদ্যালয়ের পরীক্ষায়
সে খুব ভালো ফল করবে এ প্রত্যাশা সে করে না,
কিন্তু
ক্রিকেট মাঠে সে খুব ভালো করবে এ আশা সে সবসময়ে করে। প্রত্যেকেই মানবের ক্রিকেট
প্রতিভা সম্পর্কে অবহিত এবং ক্রিকেট মাঠে মানব
খুব ভালো করবে এ প্রত্যাশা সবাই করে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, ক্রিকেটের ক্ষেত্রে
মানবের ধনাত্মক এবং উচ্চমাত্রার আত্মমর্যাদা তৈরি হয়েছে, যদিও পড়াশোনার
ক্ষেত্রে তার ধনাত্মক আত্মমর্যাদা তৈরি হয়নি।
আত্মমর্যাদার
ইতিহাস (History of Self Esteem)
আত্মমর্যাদার (Self-Esteem) অর্থ ও ধারণা আলোচনা
প্রসঙ্গে এর ইতিহাস উল্লেখ করা প্রয়োজন। দার্শনিক এবং মনস্তাত্ত্বিক উইলিয়াম
জেমস্ (1890 খ্রিস্টাব্দ) সর্বপ্রথম আত্মমর্যাদা (Self-Esteem)-কে নির্দিষ্ট
মনস্তাত্ত্বিক সংগঠক ( Psychological Construct) হিসেবে ব্যাখ্যা
করেন। জেমস্ বহুমাত্রিক 'Self' বা 'নিজ'-কে দুটি ক্রমপর্যায়ভিত্তিক শ্রেণিতে বিভক্ত করেন। যেমন—জানার প্রক্রিয়া
(যাকে I-Self বলে) এবং জানার ফল (যাকে 'Me-Self' বলা হয়)। নিজেকে
পর্যবেক্ষণ করা এবং পর্যবেক্ষণের ফলে নিজের সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা সঞ্জয় হয় তাকে 'Me-Self' বলে। জেমস্-এর মতে
এই 'Me-Self'-কে তিন ভাগে ভাগ করা
যায়। যেমন—বস্তুসত্তা, সামাজিক সত্তা এবং আধ্যাত্মিক সত্তা। সামাজিক সত্তা যা
অন্যান্যদের দ্বারা সমর্থিত হয়। তাকে Self-Esteem বা আত্মমর্যাদা বলে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম
দিকে মনস্তত্ত্ব জগতে আচরণবাদের বিশেষ প্রাধান্য দেখা যায়। আচরণবাদী
মনস্তাত্ত্বিকগণ মনস্তত্ত্বকে প্রকৃতি বিজ্ঞানের (Natural Science) ন্যায় পরীক্ষামূলক
বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁরা মনের বাহ্যিক প্রকাশ অর্থাৎ যেসব আচরণকে
পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপ করা যায় তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। স্বাভাবিকভাবেই
অন্তদর্শন (Introspection) এবং নিজেকে জানার বিষয় অবহেলিত হয়। এই কারণেই ‘Self” সম্পর্কিত
ধারণাগুলির উপর অধ্যয়ন আচরণবাদীদের মধ্যে দেখা যায় না। 1960 খ্রিস্টাব্দের
মধ্যভাগে সমাজতাত্ত্বিক মরিস রোজেনবার্গ (Morris Rojenberg) আত্মমর্যাদার সংজ্ঞা
প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন— আত্মমর্যাদা হল আত্মমূল্য সম্পর্কে অনুভূতি (Feeling of
Self-Worth)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য
আত্মমর্যাদাকে পরিমাপের জন্য তিনি একটি স্কেল প্রস্তুত করেন যা সমাজতত্ত্বে বহু
ব্যবহৃত।
বিংশ শতাব্দীর
মধ্যভাগে মানবতাবাদী মনস্তত্ত্ব (Humanistic Psychology) বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে ওঠে, যার ফলে আত্মসম্পূর্ণকরণে (Self-Actualization) (যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত
হল নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, সমস্যাসমাধান, কুসংস্কারমুক্ত, সত্য ঘটনা স্বীকার করা ইত্যাদি) এবং মানসিক ব্যাধির
চিকিৎসায় Self-Esteem বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। মনস্তত্ত্ববিদগণ মনে করতে শুরু
করেন মনোচিকিৎসা এবং উচ্চমাত্রার আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির সন্তুষ্টির সঙ্গে
সম্পর্ক আছে। এই ধারণা আত্মমর্যাদার ধারণার মধ্যে এক নতুন দিকের সূচনা করে। যেমন—ব্যক্তি কী কারণে
নিজ মর্যাদা সম্পর্কে আস্থাহীন হয় এবং কেন সে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে
অনিচ্ছা প্রকাশ করে।
সম্প্রতিকালে
আত্মমূল্যায়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে (Self-
Evaluation Approach) আত্মমর্যাদা হল নিজ মূল্যায়নের চারটি মাত্রার মধ্যে অন্যতম
একটি মাত্রা। অপর তিনটি মাত্রা হল—লোকাস অফ কন্ট্রোল (Locus of Control), নিউরোটিসিজম (Neuroticism) এবং সেল্ফ এফিকেসি (Self-Efficacy)। Locke এবং Durham (1997)-এর মতে, আত্মমর্যাদা হল আত্মমূল্যায়নের (Self-Evaluation) অন্যতম একটি মাত্রা, কারণ এটি হল ব্যক্তির নিজ সম্পর্কে
সামগ্রিক ধারণা।
মানবতাবাদী
মনস্তাত্ত্বিক আব্রাহাম ম্যাসলো (Abraham
Maslow) মানুষের চাহিদার ‘পিরামিডে’ আত্মমর্যাদাকে চতুর্থ স্তরে স্থান
দিয়েছেন। তিনি আত্মমর্যাদাকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন—অন্যান্যদের নিকট থেকে স্বীকৃতির চাহিদা (যেমন—সম্মান, প্রশংসা,
শ্রদ্ধা
ইত্যাদি) এবং নিজের প্রতি শ্রদ্ধা (যেমন—নিজেকে ভালোবাসা, আত্মবিশ্বাস, নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতার প্রতি আস্থা ইত্যাদি)। ম্যাসলো
আরও বলেন আত্মমর্যাদার চাহিদা পূরণ না হলে ব্যক্তি আত্মসম্পূর্ণতা (Self-Actualisation) লাভ করে না ৷
আত্মমর্যাদা
(Self
Esteem )-র প্রতি গুরুত্ব
নিম্নে আত্মমর্যাদা
(Self Esteem )-র প্রতি গুরুত্ব
আরোপের কারণগুলিকে উে করা হল-
1. মানসিক সুস্থতা : আব্রাহাম ম্যাসলোর
(Abraham Maslow) -র মতে ान সুস্থতা সম্ভব নয়
যদি ব্যক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিজের এবং অন্যদের দ্বারা সমর্থিত না হয় এবং
ভালোবাসা ও যথাযথ সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়। Self-Esteem
ব্যক্তিকে
আস্থার সঙ্গে সমস্যাসমাধানে প্রেষণা স্যার করে এবং ইতিবাচ দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে
সহযোগিতা করে।
আত্মমর্যাদা
ব্যক্তিকে জীবনে সুখী হতে প্রেরণা জোগায়। এই প্রেরণার ব্যক্তি অন্যদের সম্মান
প্রদর্শন করে, যার ফলে পারস্পরিক
সুসম্পর্ক গড়ে এবং দ্বন্দ্ব, বিবাদ, মনোমালিন্য দূর হয়। এই প্রসঙ্গে Erich Fromm লেন নিজের প্রতি
ভালোবাসা এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসা পরস্পর পরস্পরের বিরুয় নয় বরং পরস্পর
সম্পর্কযুক্ত। তিনি আরও বলেন কেবলমাত্র সেই ব্যক্তিঃ অপরকে ভালোবাসতে পারে যে
নিজেকে ভালোবাসে।
2. সৃজনশীলতা: আত্মমর্যাদা বা Self-Esteem কার্যক্ষেত্রে বিশেষ
করে শিক্ষাক্ষেত্রে সৃজনশীল হতে সাহায্য করে।
3. আচরণগত বিশৃঙ্খলার প্রতিরোধ: Jose Vicente Bonet-এর মতে আত্মমর্যাদার
ঘাটতির ফলে ব্যক্তি অন্যদের থেকে শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা হারানোর পরিবর্তে নিজের
প্রতি আস্থা হারায়, যা ব্যক্তির পক্ষে
বিশেষ ক্ষতিকর। Bonet দাবি করেন এর ফলে
ব্যক্তি হতাশায় আক্রান্ত হয়। ফ্রয়েডও প্রায় একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের প্রতি আস্থা হারায়।
4. কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা: 2000 খ্রিস্টাব্দে WHO (World Health Organization) কর্তৃক প্রকাশিত 'Preventive Suicide' পুস্তকে উল্লেখ করা
হয় শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালের কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে তাদের
মধ্যে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এর ফলে তারা কঠিন সময় এবং সংকটময়
পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে সচেষ্ট হয়।
5. শ্রেণিকক্ষে সাফল্য: 1970 থেকে 1990 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আমেরিকার একাধিক সমীক্ষায়
শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদার (Self-Esteem)
সঙ্গে
শ্রেণিকক্ষে সফলতা, সহপাঠীদের সঙ্গে
সুসম্পর্ক এবং পরবর্তী জীবনে সফলতার সঙ্গে ধনাত্মক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই কারণেই আমেরিকার কয়েকটি শিক্ষা সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে
শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদা (Self-Esteem)
বৃদ্ধিতে
সচেষ্ট হন।
আত্মমর্যাদার
বিকাশের জন্য কর্মসূচির রূপরেখা প্রস্তুত এবং প্রয়োগ :
সন্তানের
আত্মমর্যাদা বিকাশে পিতা-মাতা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন তার একটি রূপরেখা এবং
তার প্রয়োগ নিম্নে উল্লেখ করা হল-
•
শিশুর
শিখনে সাহায্য করা (Help Child
to Learn): সব বয়সেই শিশুর নতুন কিছু শেখার অবকাশ থাকে। এমনকি অতি
শৈশবে শিশু যখন কাপ ধরতে শেখে বা ‘হাঁটি হাঁটি পা পা
করে তখন তার মধ্যে সফলতার অনুভূতি দেখা দেয় এবং সে আনন্দ লাভ করে। শিশুর বয়স
বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিধান,
পড়তে
শেখা, সাইকেল চড়তে শেখা
ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাহায্যের মাধ্যমে তার আত্মমর্যাদার ভিত্তি গড়ে ওঠার সুযোগ ঘটে।
কোনো বিষয় শেখানোর
সময় প্রথমে তাকে করে দেখানো এবং পরে সাহায্য করা (First show then help to Learn ): শেখানোর সময় প্রথমে
তাকে কীভাবে করতে হয় তা দেখাতে হবে। পরে তাকে নিজে করতে দিন। ভুল করলে করতে দিন।
শিশু যাতে ভুলের মধ্যে দিয়ে শেখার সুযোগ পায় এবং শিখে নিজে তৃপ্ত হয়, সে দিকে নজর দিন। তবে অবশ্যই মনে রাখা
প্রয়োজন নতুন কিছু শেখার সময় শিখনের বিষয়টি যেন খুব সহজ বা কঠিন না হয়।
•
শিশুকে
বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রশংসা করুন ( Praise
Intelligently) : শিশুকে প্রশংসা করা অবশ্যই শিশু মনোবিজ্ঞানসম্মত। আপনার
প্রশংসা শিশুকে উৎসাহিত এবং উদ্দীপিত করবে কারণ সে মনে করবে আপনিও শিশুর সফলতার
অংশীদার। তবে মনে রাখবেন সব প্রশংসাই শিশুর পক্ষে হিতকর নয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে
ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রশংসা কীভাবে করা উচিত সে সম্পর্কে নিম্নে কিছু উল্লেখ
করা হল—
(i)
অতিরিক্ত
প্রশংসা থেকে বিরত থাকা: এমন ক্ষেত্রে প্রশংসা করবেন না যেখানে শিশু বুঝতে পারে সে
ঠিক করেনি বা প্রত্যাশামতো করেনি। এরকম ক্ষেত্রে আপনার বলা উচিত—“চেষ্টা করো, তুমি আরও ভালো করবে। তুমি যে ছেড়ে না দিয়ে কাজ করেছ তাতেই
আমি খুশি।”
(ii)
প্রচেষ্টা
এবং সক্রিয়তাকে প্রশংসা করবেন প্রাপ্ত ফলকে নয়: ফালের (যেমন পারদর্শিতার
ক্ষেত্রে 'A' গ্রেড অর্জন বা দৌড়
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার ইত্যাদি) পরিবর্তে প্রচেষ্টা, অগ্রগতি এবং বাঞ্ছিত দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশংসা
করুন। কারণ হল অর্জিত ফলকে প্রশংসা করলে অনেক সময় শিশু কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। আশঙ্কা করে ফল ভালো না হলে তার অর্জিত সম্মানের ক্ষতি হতে
পারে। এই ধরনের মানসিকতায় তার আত্মমর্যাদার উপর ঋণাত্মক প্রভাব দেখা দিতে পারে।
শিশুকে প্রশংসা
কীভাবে করা উচিত তার একটি উদাহরণ দেওয়া হল- 'তুমি প্রকল্প শেষ করতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছ
বা তুমি Spelling-এর পরীক্ষায় ক্রমশ
উন্নতি করছ বা সংগীতের প্রতি তোমার একনিষ্ঠতায় আমি গর্ববোধ করি।'
Ø উত্তম রোল মডেল
হওয়া (Be a good Role Model): আপনার দৈনন্দিন
জীবনের কাজগুলি যেন আপনার সন্তানের কাছে উদাহরণস্বরূপ হয়। তাহলে আপনার শিশুও তার
কাজগুলি করতে উদ্যত হবে। শিশু যখন তার কাজে সফল হয়, সে নিজেকে সার্থক বলে মনে করে এবং তার মধ্যে ধনাত্মক
আত্মমর্যাদা দেখা দেয়।
Ø দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাবের
'মডেল'ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি আপনার
কাজগুলি আনন্দসহকারে করেন, আপনার শিশুও সেইভাবে
করতে সচেষ্ট হয়। কাজ করার পর আপনি যদি সন্তোষ প্রকাশ করেন, সেটা দেখে আপনার শিশুও তাই করবে। এইভাবে
শিশুর মধ্যে সন্তুষ্টির মনোভাব গঠন করা সম্ভব, যার ফলে শিশুর আত্মমর্যাদা শক্তিশালী হবে।
Ø কঠোর সমালোচনা থেকে
বিরত থাকা (Ban harsh
Criticism): কঠোর সমালোচনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে কারণ শিশুরা
তাদের প্রতি অন্যদের সমালোচনা শোনার পর তারা নিজেদেরকে সেইভাবে বিচার করে। ঋণাত্মক
মন্তব্য (যেমন তুমি এত অলস কেন?)
শিশুর
পক্ষে ক্ষতিকর এবং তার মধ্যে প্রেষণা সঞ্চারে বাধার কারণ হয়ে ওঠে। অন্যেরা যখন
শিশুকে নিন্দা করে শিশু নিজেকে তখন সেইভাবে মনে করে এবং সে সেই ধরনের কাজে লিপ্ত
হয়।
Ø শিশুর শক্তিশালী
দিকগুলির প্রতি নজর দিন (Focus
on Strength): শিশু যে কাজটি বা কাজগুলি ভালোভাবে করতে সক্ষম হয় এবং
আনন্দ পায় সেই কাজ বা কাজগুলির প্রতি বিশেষ নজর দিন। শিশু এই কাজগুলি করার যাতে
সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা বিশেষ প্রয়োজন। শক্তিশালী দিকগুলি পরিচর্যা করা, দুর্বল দিকগুলি চিহ্নিত করার থেকে অধিক
কার্যকরী।
Ø শিশুকে যদি নিজের
সম্পর্কে ধনাত্মক আত্মমর্যাদা গঠনে সাহায্য করতে চান। তাহলে তার দুর্বলতাগুলিকে
নির্দিষ্ট করার পরিবর্তে শক্তিশালী দিকগুলির পরিচর্যা করা শিশু মনোবিজ্ঞানসম্মত।
Ø শিশুকে বারংবার
চেষ্টা করতে উৎসাহদান (Encourage
Try and Try Again): শিশু যাতে নিজের মতো করে চেষ্টা করে সেই বিষয়ে উৎসাহ দিন।
সে যাতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়,
ঝুঁকি
নিতে সাহসী হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখুন।
Ø আত্মমর্যাদার
পার্থক্য পরিমাপ করুন (Measure
the Difference of Childs' Self-esteem): সবশেষে নির্দিষ্ট সময়ের পর (1 বছর বা 2 বছর আত্মমর্যাদা পরিমাপক স্কেল দ্বারা (Rosenberg (1965) 10 item situation scale) শিশুর আত্মমর্যাদার
অবস্থান নির্ণয় করুন এবং পার্থক্য বিচার করুন।
No comments:
Post a Comment